বেয়ারস্টো-শশাঙ্কে হেসেখেলে ২৬২ রান করে জিতলো পাঞ্জাব
জনি বেয়ারস্টো যখন একের পর এক বল সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলছেন, তখন সাইড স্ক্রিনে ভেসে উঠলো ‘বেয়ার স্টোল শো’। হঠাৎ করে ব্যাটিং স্বর্গ হয়ে ওঠা ইডেন গার্ডেন্সে সব আলো কেড়ে নিলেন ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে রান তাড়ায় রেকর্ড ২৬২ রান করে পাঞ্জাব কিংসকে জেতানোর নায়ক বেয়ারস্টো। তার সঙ্গে এই আইপিএলের অন্যতম সেরা আবিষ্কার শশাঙ্ক সিং দলের জয়ের ক্যানভাসে তুলির শেষ আঁচড় কাটলেন। দুজনের আগুন ঝরানো ব্যাটিংয়ে ৮ বল হাতে রেখে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৮ উইকেটে হারালো পাঞ্জাব। টানা চার ম্যাচের জয়খরা তারা কাটালো অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে।
টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড ৪২ ছক্কার ম্যাচে বেয়ারস্টো ছিলেন এগিয়ে। ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করা ইংলিশ ব্যাটার ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ৯ ছয়।
ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ২৬১ রান করেছিলাই কলকাতা। এই দুজনকে ছাপিয়ে গেলেন বেয়ারস্টো ও শশাঙ্ক।
শুরু থেকে বেয়ারস্টো ছিলেন আক্রমণাত্মক। ওপেনার প্রভসিমরান সিংয়ের সঙ্গে পাওয়ার প্লেতে ৯৩ রান তুলে ফেলেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ বলে প্রভসিমরান রান আউট হন। ২০ বলে ৫৪ রান করেন তিনি ৪ চার ও ৫ ছয়ে।
রাইলি রুসোকে নিয়ে আবার কলকাতার বোলারদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বেয়ারস্টো। কলকাতার পুরো গ্যালারি নিস্তব্ধ করে দেন তিনি। নারিন বল হাতে নিয়ে কলকাতার গ্যালারির নিস্তব্ধতা ভেঙে দেন। একটু নিচু বাইরের বল হাঁকাতে গিয়ে শ্রেয়াস আইয়ারের ক্যাচ হন রুসো, ১৬ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ভেঙে যায় ৮৫ রানের জুটি।
কলকাতার এই উল্লাস ছিল কিছুক্ষণের জন্য। বরুণ চক্রবর্তীকে টানা দুটি ছয় মেরে তাদের উচ্ছ্বাস ম্লান করেন দেন শশাঙ্ক। আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। দুজনের অপরাজিত ৯৪ রানের জুটিতে কঠিন ম্যাচ সহজে জিতে যায় পাঞ্জাব। ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৬২ রান করে তারা। মাত্র ২৮ বল খেলে ২ চার ও ৮ ছয়ে ৬৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন শশাঙ্ক।
গত বছর মার্চে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে ২৫৯ করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রেকর্ড ভেঙে দিলো এবার পাঞ্জাব।
এর আগে কলকাতা দারুণ শুরু পায় নারিন ও সল্টের জুটিতে। ওপেনিংয়ে তারা যোগ করেন ১৩৮ রান। সল্ট ৩৭ বলে ছয়টি করে চার ও ছয়ে ৭৫ রান করেন। নারিনের ব্যাটে আসে ৩২ বলে ৭১ রান, ছিল ৯ চার ও ৪ ছয়।
শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেলের ১২ বলে ২৪ ও ও আইয়ারের ১০ বলে ২৮ রানে কলকাতা বড় স্কোর গড়েছিল।
৯ ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সাতে উঠলো পাঞ্জাব। এক ম্যাচ কম খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কলকাতা।