পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
এতদিন মুখোমুখি লড়াইয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেই ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ড নিজ নিজ মাঠে ছিল অপ্রতিরোধ্য। তাই সিগন্যাল ইদুনা পার্ক থেকে গত সপ্তাহে হেরে এলেও পার্ক দে প্রিন্সেসে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় ছিল প্যারিস ক্লাব। কিন্তু ঘরের মাঠে হেরে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় সিক্ত হলো তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠলো এবারের আসরের আন্ডারডগ ডর্টমুন্ড।
পিএসজির জার্সিতে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের শেষ সুযোগ ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের সামনে। তাকে নিষ্ক্রিয় করে রেখে প্যারিস ক্লাবকে হতাশ করেছে জার্মানরা। দুই লেগে ২-০ গোলের অগ্রগামিতায় ১১ বছর পর আবার ফাইনালের মঞ্চে ডর্টমুন্ড। ১৯৯৭ সালে জুভেন্টাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়ীরা ২০১৩ সালের ফাইনালে স্বদেশী ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-১ গোলে হেরে যায়।
মঙ্গলবার বল দখল থেকে শুরু করে গোলের প্রচেষ্টায় ডর্টমুন্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল পিএসজি। কিন্তু জালের দেখা পায়নি তারা। কখনও বল দিকভ্রষ্ট হয়েছে, আবার গোলকিপার গ্রেগর কোবেল বাধা হয়ে দাঁড়ান। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রসবার হতাশায় ভাসিয়েছে তাদের। চারবার তাদের শট লাগে ক্রসবারে।
অন্যদিকে ডর্টমুন্ড তিনটি পরিষ্কার সুযোগের একটি কাজে লাগিয়ে জয় আদায় করে নিয়েছে। ৫০ মিনিটে জুলিয়ান ব্র্যান্ডটের কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেড করে জাল কাঁপান ম্যাট হামেলস। তার আগে প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আদেইয়েমির দারুণ প্রচেষ্টা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন পিএসজি কিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা।
এর দুই মিনিট আগে এমবাপ্পে পায়ের কাজ দেখিয়ে বক্সের ডানপ্রান্তে বল বাড়ান। উসমান দেম্বেলের শট কাছের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে গনসালো রামোস, নুনো মেন্দেস, ভিতিনহাকে হতাশ করে ক্রসবার। শেষ পর্যন্ত হামেলসের ওই গোলই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। প্রথমবার পার্ক দে প্রিন্সেসে জয়ের উদযাপনে মাতে ডর্টমুন্ড।
আগামী ১ জুন আবার ওয়েম্বলিতে ফাইনাল খেলবে ডর্টমুন্ড। তাদের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হবে বুধবার বায়ার্ন ও রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ শেষে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-২ গোলে ড্র করেছিল দুই দল।