ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
গ্রুপ পর্বেই পিএসজির মুখোমুখি হয়েছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। পার্ক দ্য প্রিন্সেসে ফরাসি ক্লাবটি জিতলেও জার্মান ক্লাবটির মাঠে তারা জিততে পারেনি। ঘরের মাঠের কথা এলে সিগন্যাল ইদুনা পার্ক ডর্টমুন্ডের জন্য দুর্গ! চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগেও ডর্টমুন্ডের মাঠে ভাগ্য বদলাতে পারেনি এমবাপ্পেরা। তাদের ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে কিছুটা এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড।
প্রথমার্ধে শুরু থেকে আধিপত্য ছিল ডর্টমুন্ডের। পিএসজির বল দখলে নিতে অনেক লড়াই করতে হচ্ছিল। ধীরে ধীরে অবশ্য গুছিয়ে উঠে তারা। কিন্তু সুযোগ তৈরির কথা এলে ডর্টমুন্ডই এগিয়ে থেকেছে।
ষষ্ঠ মিনিটে গোল মুখে শট নিয়েছিলেন সানচো। সফরকারীরা দলটি অবশ্য দারুণভাবে সেটি ক্লিয়ার করে দেয়। ১১ মিনিটে দেম্বেলে নিচু শট নিলেও সেটা চলে যায় লক্ষ্যের বাইরে দিয়ে। ৩৬ মিনিটে ওপর দিয়ে আসা লং বল পেয়ে গোলমুখে ছুটে যান নিকলাস ফুলক্রুগ। পিএসজি গোলরক্ষক তখন একা গোলবার সামলাচ্ছেন। বাম প্রান্ত দিয়ে মুহূর্তে বক্সে ঢুকেই দারুণ এক ফিনিশিংয়ে জালে বল পাঠিয়ে দেন তিনি।
ফুলক্রুগ দ্বিতীয় গোলটিও পেতে পারতেন। ডান প্রান্ত দিয়ে জেডন সানচোর সঙ্গে দারুণ সন্বয়ের পর সুযোগ তৈরি করলেও এই স্ট্রাইকার সেটি মারেন বারের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল মার্সেল সাবিটাইজারেরও। কিন্তু তার ক্লোজ রেঞ্জের ভলি দারুণ দক্ষতায় সেভ করেন পিএসজি গোলকিপার দোন্নারুম্মা।
তার পর এই অর্ধে বেশিরভাগ সময়ই ব্যাকফুটে ছিল পিএসজি। অবস্থা এতই করুণ ছিল যে লক্ষ্য বরাবর একটি শটও নিতে পারেনি তারা। বিরতির পর তাদের খেলায় ধার বাড়ে। ৫১ মিনিটে দুবার সুবর্ণ সুযোগ ছিল তাদের! দুবারই তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্ট! একবার শট নিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, ফিরতি বলে আশরাফ হাকিমি। খেলার দশ মিনিট বাকি থাকতে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন ওসমান দেম্বেলেও। তার শট চলে যায় বারের ওপর দিয়ে।